রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সময়ে সময়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের আগেই নয়া উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন জনসংযোগ কর্মসূচির। রাজ্যের প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষদের জন্য সবরকমের নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নয়া উদ্যোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি জেলার ব্লকস্তরে মিলবে এই সরকারি পরিষেবা। প্রান্তিক গ্রাম থেকে শুরু করে পাহাড়ি এলাকায় সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবে সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা। চলতি বছরের ২০শে জানুয়ারি থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শুরু হয়েছে এই পরিষেবা, যা চলবে আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
Samasya Samadhan Jan Sanjog এই কর্মসূচিতে জাতিগত শংসাপত্র, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, মেধাশ্রী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, রূপশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু-সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এমনিতে এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া যায়। তবু কেউ যাতে প্রকল্পের আওতার বাইরে না থাকেন তার জন্য পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেওয়া হবে। সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচি শিবিরে এসে সাধারণ মানুষ নিজেদের বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা কিংবা সাহায্য নিতে পারবেন।
প্রতিটি জেলায় ব্লকভিত্তিক একটি করে ক্যাম্প তৈরি করা হবে। প্রান্তিক এলাকা থেকে শুরু করে পাহাড়ি অঞ্চল, পিছিয়ে পড়া জনবসতি এলাকা, চা-বাগান ইত্যাদি এলাকার মানুষ তাদের সমস্যা নিয়ে এই ক্যাম্পগুলিতে হাজির হতে পারবেন। আর এই ক্যাম্প থেকে গ্রামগুলিতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিদিন কতজন করে আবেদনকারী ক্যাম্পে আসছেন, তার উপর নির্ভর করে প্রতিটি ব্লকে পরিষেবা প্রদানকারী টিম গঠন করা হচ্ছে। প্রতিটি টিমে থাকবেন তিনজন করে সরকারি কর্মী। এর পাশাপাশি থাকবেন পুলিশ কর্মী, যারা সরকারি প্রকল্পে আবেদন কিংবা কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনী ফর্ম, আবেদনপত্র নিয়ে মানুষের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর এবং সমস্যার সমাধান দেবেন।
আরও পড়ুন » বাজেটের আগেই বিরাট সুখবর! আরও বাড়বে পেনশনের টাকা
সাধারণ মানুষ এখানে এসে সর্বমোট ২০টি প্রকল্পের নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এর আগে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। সামনেই যেহেতু লোকসভা নির্বাচন, তাই তার আগে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি আরো মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে। সেই কারণে সরকার এই কর্মসূচিতে বেশি জোর দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আধিকারিকদের ছুটি বাতিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।