প্রতিনিয়তই কেওয়াইসি (KYC) নিয়ে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনো ওটিপির মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ হয়ে যাচ্ছে, আবার কখনো ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা, কখনো আবার কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে ঘটছে প্রতারণা। ইদানিং বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কেওয়াইসি করার সময়েও প্রতারণার ঘটনা ঘটে চলেছে।
এই আবহে কেওয়াইসি আপডেট করার সময় সাধারণ গ্রাহকদের সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জারি করলো নয়া নির্দেশিকা, যেখানে জানানো হয়েছে, কেওয়াইসি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কি করবেন আর কি করবেন না। KYC Update করার নাম করে প্রতারকরা যেভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে অ্যাকাউন্ট সাফ করছে, এবার তা রুখতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কীভাবে প্রতারণা করা হয়?
অনেক সময় গ্রাহকদের কাছে নানা জায়গা থেকে ফোন, এসএমএস কিংবা ইমেল আসে, যেখানে তাদের কাছ থেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং লগইন ডিটেইলস চাওয়া হয়। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে, লিঙ্ক পাঠিয়ে কোনো সন্দেহজনক অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। ফোন করে বলা হয় যে, অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট কার্ড ব্লক হয়ে যাবে কাজটি না করলে। আর এই কথা শুনে যাতে গ্রাহত আতঙ্কিত হয়ে চটজলদি নিজস্ব ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেন। ব্যাস তার পরেই সেই তথ্য গ্রাহক শেয়ার করে দিলেই প্রতারক দ্রুত ওই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের দখল নিয়ে অ্যাকাউন্ট পুরো সাফ করে দেবে।
কী করা উচিত?
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, KYC সংক্রান্ত কোনো ফোন গ্রাহকদের কাছে এলে তারা যেন দ্রুত তাদের কোনো তথ্য না দিয়ে দেন। অনেক সময় নানাভাবে গ্রাহককে ভয় দেখানো হয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে বলে। সেক্ষেত্রেও যেন কোনোরকম তথ্য চটজলদি না দিয়ে দেয় কোনো গ্রাহক। এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানাতে হবে। সাইবার ক্রাইম পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা যায়।
KYC Update করাতে সরাসরি ব্যাংকের শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং এই বিষয়ে কিছু জানার থাকলে ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জানতে হবে। ব্যাংকের শাখায় যাওয়া সম্ভব না হলে ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের সাপোর্টের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এছাড়াও ওই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিদের নম্বর পাওয়া যাবে। সেই সকল নম্বরে ফোন করেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। কেওয়াইসি সংক্রান্ত কোনো জালিয়াতির ঘটনার মুখোমুখি হলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন » ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বাড়িতেই শুরু করুন এই ব্যবসা, আয় হবে মোটা টাকা
কী করা উচিত নয়?
কেওয়াইসি (KYC) সংক্রান্ত কোনোরকম ফোন এলে কখনোই গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট নম্বর অথবা ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের নম্বর দিলে হবে না, এছাড়াও ওয়েবসাইটে ঢোকার জন্য কোনো পাসওয়ার্ড অথবা ওটিপি চাইলে তাও শেয়ার করা চলবে না। অনলাইনেও যদি কেওয়াইসি করানোর কোনো ব্যবস্থা থাকে সেক্ষেত্রেও কোনো আনভেরিফাইড ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে ঢুকে কেওয়াইসি করার চেষ্টা করলে হবে না। এমনকি হোয়াটস্যাপ বা ম্যাসেজে এই ধরনের কোনো মেসেজ এলে যদি সেখানে কোনো লিংক থাকে তাতে ক্লিক করলে হবে না।