Lakshmir Bhandar Scheme: পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের জন্য রাজ্য সরকার যে যে প্রকল্পগুলি সূচনা করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme)। রাজ্য সরকারের তরফে বঙ্গ লক্ষ্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাঠানো হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের সিদ্ধান্তে উপকৃত হয়েছেন বাংলার বহু প্রত্যন্ত এলাকার মহিলারা। মাসিক একটি নির্দিষ্ট অর্থ হাতে আসায় সংসার চালানো থেকে হাতখরচা সব ক্ষেত্রেই উপকার হয়েছে তাঁদের।
ইতোমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক কোটি মহিলা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের নাম নথিভুক্তকরণের পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে বলে অভিমত সরকার পক্ষের।
Lakshmir Bhandar Scheme
২০২১ সালের ১৬ অগাস্ট থেকে সূচনা হয়েছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প বর্তমানে রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে দেশে সমাদৃত। সরকারি নিয়ম অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের মধ্যে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এখানেই রাজ্য বাসীর প্রশ্ন, তবে কি ৬০ বছর বয়স হলেই বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা আসার পরিমাণ? গোটা বিষয়টি খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
রাজ্য সরকারি নিয়ম বলছে, একজন পরিবারের একের বেশি মহিলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। প্রত্যেক মহিলাকেই হাতখরচা দেবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পে আবেদন করা সমস্ত মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকার ভাতা পাঠানো হবে। আগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা পাঠাত রাজ্য সরকার। কিন্তু বর্তমানে সেই হার বৃদ্ধি করে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতির মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা ও অন্যান্য সকল মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
WB Old Pension Scheme
গত ১০ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে এক সরকারি প্রকল্প সম্বন্ধীয় জনসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাম থাকা মহিলাদের ৬০ বছর হলে তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা সবাই এরপর থেকে বার্ধক্যভাতার (Old Pension Scheme) আওতায় পড়বেন। অর্থাৎ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ বন্ধ হলেও রাজ্যের মহিলারা বার্ধক্য ভাতার আওতায় প্রতিমাসে আর্থিক সাহায্য পাবেন।