Swami Vivekananda Scholarship 2024: পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রশস্ত করার জন্য নানান স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো স্কলারশিপ হলো স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship)। ইতিমধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষের জন্য এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সরকারের তরফ থেকে এই স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয় সেইসকল মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যারা উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে যারা গবেষণা করছেন।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship)
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ (Merit Cum Means Scholarship) নামক স্কলারশিপটি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Scholarship) নামে চালু করা হয়েছে। রাজ্যের মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে অনগ্রসর পড়ুয়ারা এই বৃত্তিতে আবেদন জানাতে পারেন। প্রতি বছর এই বৃত্তিতে হাজার হাজার পড়ুয়া আবেদন জানান। বিগত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে এই স্কলারশিপের মাধ্যমে।
নিয়মে কি বদল হলো ?
অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীরা এই টাকার মাধ্যমে তাদের ইনস্টিটিউশনে ভর্তি, টিউশন ফি, বই পত্রের খরচ ও আনুষঙ্গিক পড়াশোনা সংক্রান্ত অন্যান্য খরচ চালাতে পারবেন। সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি এই স্কলারশিপের নিয়মে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন জানানোর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
এই স্কলারশিপে কত টাকা পাওয়া যায়?
১) এই স্কলারশিপের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ১২০০০ টাকা,
২) সাধারণ ইউজি কলেজে কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা বার্ষিক ১২০০০ থেকে ১৮০০০ টাকা,
৩) যেকোনো বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়ারা বার্ষিক ২৪০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা পেয়ে থাকেন।৪) ইউজি এবং পিজি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বার্ষিক মোট ৬০০০০ টাকা,
৫) পলিটেকনিক ডিপ্লোমা কোর্সের ছাত্র ছাত্রীরা বার্ষিক ১৮০০০ টাকা,
৬) মেডিকেল এবং ফার্মেসি ডিগ্রীর শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ৬০০০০ টাকা,
৭) বিএসসি নার্সিংয়ের পড়ুয়ারা বার্ষিক ৬০০০০ টাকা,
৮) ডিপ্লোমা মেডিকেল কোর্স যেমন ল্যাব টেকনিশিয়ান, প্যারা মেডিক্যাল ও জিএনএম নার্সিংয়ের পড়ুয়ারা বার্ষিক ১৮০০০ টাকা পান।
Swami Vivekananda Scholarship আবেদনের যোগ্যতা
যে সকল পড়ুয়ারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ, স্নাতক স্তরে ৬০ শতাংশ এবং স্নাতকোত্তরে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেন, তারাই এই স্কলারশিপে আবেদন যোগ্য। এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের অবশ্যই কোনো উচ্চশিক্ষা বা প্রশিক্ষণ অনুসরণ করতে হয় এবং এক্ষেত্রে আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় হতে হবে ২৫০০০০ টাকার কম, তবেই সেই পড়ুয়া এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনযোগ্য।
প্রয়োজনীয় নথি
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (SVMCM Scholarship 2024) এর সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আবেদনকারীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের প্রয়োজন হবে –
- আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড
- বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকে অ্যাডমিট কার্ড, জন্ম সার্টিফিকেট
- আগের ক্লাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মার্কশিট ও সার্টিফিকেট,
- নতুন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার রশিদ,
- সাম্প্রতিক তোলা নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং সিগনেচার
- পরিবারের ইনকাম সার্টিফিকেট,
- ব্যাংকের পাশবই এর বিস্তারিত বিবরণ ইত্যাদি।
Swami Vivekananda Scholarship Apply Online
এই স্কলারশিপ পেতে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। আবেদন জানাতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে –
- প্রথমে আপনাকে Swami Vivekananda Scholarship এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.svmcm.wbhed.gov.in -এ যেতে হবে।
- এরপর Registration এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর Topper এবং Non-Topper ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর Apply for Fresh Application বোতামে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর পড়ুয়ার নিজের নাম, ইমেইল আইডি, মোবাইল নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য সহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে Registration সম্পন্ন করতে হবে। এই সময় আবেদনকারীকে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে, যেটা পরবর্তীকালে লগইন করার সময় কাজে লাগবে।
- সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পরে, আবেদনকারী একটি Application ID পাবেন। যার সাহায্যে তিনি অনলাইনে লগইন করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি অবশ্যই পরবর্তী ব্যবহারের জন্য লিখতে হবে।
- এরপর আবেদনকারীকে Application ID এবং Password দিয়ে লগ ইন করতে হবে
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আবেদনকারীকে ড্যাশবোর্ডে Edit Profile / Application অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- এখন অনলাইনে আবেদন ফর্ম নির্ভুলভাবে সব তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং আবেদনকারীর স্ক্যান করা ছবি ও সিগনেচার বা স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে।
- এরপর Save & Next বোতামে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আবেদনকারীকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
- এরপর, পূরণ করা সমস্ত তথ্য পুনরায় ভালো করে দেখে নিয়ে Finalize Application অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- ফাইনাল সাবমিট করার পর আবেদনকারী আর কোন তথ্য Edit করতে পারবেন না।