SVMCM Scholarship: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছেন। যাতে মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কোনো পড়ুয়া পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে যাতে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেই দিকে নজর দিয়েই রাজ্য সরকারের তরফে স্কলারশিপ এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Students Credit Card) চালু করা হয়েছে, যাতে তার মাধ্যমে পড়ুয়ারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। টাকার অভাবে তা যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। এখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমন একটি Scholarship এর বিষয়ে জানানো হবে, যার মাধ্যমে বহু ছাত্র-ছাত্রী এই মুহূর্তে নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং হায়ার এডুকেশন নিতে পারছেন। এক নজরে সেই স্কলারশিপ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্কলারশিপটির নাম– স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (Swami Vivekananda Merit cum Means Scholarship / SVMCM Scholarship)
কারা পেতে পারেন এই স্কলারশিপ (Who is Beneficiary of SVMCM)
- মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটেকনিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
- পূর্বে এই SVMCM স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য ৭৫ শতাংশ নম্বর নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সরকার সেই নম্বর কমিয়ে দিয়ে ৬০ শতাংশ করেছে। যাতে আরো বেশি সংখ্যক পড়ুয়া এই স্কলারশিপের সুবিধা পেতে পারেন।
- SVMCM স্কলারশিপ এর দুটি স্টেপ রয়েছে। একটি হলো আবেদন বা Apply এবং দ্বিতীয়টি হল পুনর্নবীকরণ বা Renewal.
কবে নাগাদ স্কলারশিপের টাকা ঢুকতে পারে (Scholarship Amount Date)
প্রশাসনিক সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস পার হয়ে মার্চ মাসের মধ্যেই SVMCM Scholarship এর টাকা প্রায় সমস্ত আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। যেহেতু সামনেই বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির পরীক্ষার ফলাফল বের হতে চলেছে, ফলে আবেদনকারীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সেই কারণেই এই সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে SVMCM স্কলারশিপে আবেদনকারীর সংখ্যা ৮ লক্ষের বেশি। যাতে রাজ্যের কোনো মেধাবী পড়ুয়া টাকার অভাবে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে এই স্কলারশিপের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এবার ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বাজেটে এই স্কলারশিপের বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। যাতে আরো বেশি পড়ুয়ারা সুবিধা পেতে পারেন।
Written by Rajib Ghosh.