Policy Rules 2024: বর্তমান যুগে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না অধিকাংশ মানুষই। তাই বীমা পলিসির চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ। ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে আগের থেকেই বীমা করে রাখতে চান সকলে। মানুষের জীবন হোক কি বাড়ি, গাড়ি, সম্পত্তি, বীমার মাধ্যমে সবক্ষেত্রকেই সুরক্ষিত রাখতে চান মানুষ। সহজ কথায় বলতে গেলে, বীমা এখন মানুষের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় অংশ হয়ে উঠেছে। বীমা করার আগেই একটি লম্বা চওড়া শর্তাবলি হাতে আসে গ্রাহকের। তাতে উল্লেখ থাকে বীমার নিয়মকানুন ও সুবিধা গুলি। সেগুলি পড়ে নিয়ে তবেই বীমা গ্রহণ করতে হয়। বর্তমানে বীমার নিয়মে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যদি গ্রাহক চান বীমা করার কিছুদিন পর তা বন্ধ করতে পারবেন। বীমা বন্ধ করলে আপনার লস তো হবেই না উল্টে জমানো সব টাকা ফিরে পাবেন।
অনেক সময়েই দেখা যায়, বীমা করার কিছুদিন পর তা আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন না মানুষ। তখন মাঝপথেই সেটি বন্ধ করতে হয়। এখন গ্রাহকদের মধ্যে প্রশ্ন থাকে, বীমা বাতিল করার পর কি টাকা ফেরত আসে নাকি জমানো টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর ফেরত পাওয়া যায় না? গ্রাহক দের চিন্তা দূর করতে এবার দুর্দান্ত প্রস্তাব আনল বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI)। নতুন কী নিয়ম হল? কি সুবিধা মিলবে? কতদিনের মধ্যে বাতিল করলে বীমার টাকা ফেরত আসবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বীমা করার পর তা বাতিল করার জন্য তথা বীমা ‘ফ্রি লুক’-এর সময় ছিল আগে পনেরো দিন (১৫ দিন)। কিন্তু বর্তমানে সেই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে IRDAI কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষকে বীমার প্রতি আরও আকর্ষিত করতে জনসাধারণ ও তার পরিবারের সুরক্ষার্থে ইতিবাচক ভূমিকা হিসেবে IRDAI -এর এই সিদ্ধান্ত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সম্প্রতি জানানো হয়েছে বীমা বাতিল করার ‘ফ্রি লুক‘ -এর সময়সীমা বাড়লে তাতে আরও বেশি সংখ্যক বীমা গ্রাহক বাড়বে। বীমার নিয়ম অনুসারে বলা যায়, একজন গ্রাহক যদি বীমা কেনেন ও পনেরো দিনের মধ্যে তা বাতিল করেন তবে বীমার অর্থ ফেরত পাবেন। তবে বীমার অর্থ কতটা ফেরত পাবেন তা নির্ভর করে বীমা ম্পানিগুলির পর্যালোচনার উপর। তবে IRDAI-এর সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। মানুষ আরও বেশি করেই বীমা কেনার পথে এগিয়ে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।