PNB Bank Account: দেশের বৃহত্তম ব্যাংকগুলির মধ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। ভারতবর্ষের লাখ লাখ জনসাধারণ এই ব্যাংকের গ্রাহক। অন্যান্য ব্যাংকের মতো পিএনবি নিজস্ব বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। মাঝেমধ্যে গ্রাহককে সে সকল নিয়ম মানার জন্য নোটিশ পাঠায় ব্যাংক। সময়ের মধ্যে সে সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হয় গ্রাহকদের। পিএনবি এর তরফে সম্প্রতি একটি নোটিশ জারি হয়েছে তার গ্রাহকদের জন্য। একটি নির্দিষ্ট কাজ সারার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাইকে। সময়ের মধ্যে অবশ্যই সে কাজ ফেলতে হবে। নচেৎ পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহক। কি সেই কাজ, কবের মধ্যে কাজটি সারতে পারবেন, ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে নিতে হবে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের তরফে কি নোটিশ দেওয়া হয়েছে?
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করেছে। সেই নির্দেশিকা মেনেই চলছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক তথা পিএনবি। দেশের কোন ব্যক্তির যদি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট (Punjab National Bank Account) থেকে থাকে তাহলে ১৯ মার্চ তারিখটি মোটেই ভুললে চলবে না তাঁর। আর একদিন রয়েছে হাতে। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কাজটি সেরে ফেলতে হবে সমস্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের গ্রাহকদের।
বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া দেশের সমস্ত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কেওয়াইসি (KYC) করার জন্য জোর দিয়েছে। এবং একই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সমস্ত ব্যাংকগুলিও। আর নির্দেশিকা মেনে পিএনবি তার গ্রাহকদের জানিয়েছে, ১৯ মার্চের মধ্যে প্রত্যেক গ্রাহককে তাদের কেওয়াইসি আপডেট করে নিতে হবে। ফলে আর হাতে রইল একদিন। তার মধ্যে যদি কোনো গ্রাহক তাদের অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও কেওয়াইসি না করেন, তবে তার ব্যাংকিং পরিষেবার প্রভাব পড়তে পারে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে তার অ্যাকাউন্টটি হীমায়িত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের তরফে। পিএনবি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহকেরা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের মধ্যে কেওয়াইসি করেননি, তাঁদের আর একদিন সময় দেবে ব্যাংক। ১৯ মার্চের মধ্যে তাঁদের সবাইকেই ওয়াইসি করে ফেলতে হবে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের KYC করতে হলে কী করতে হবে?
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে যে সমস্ত গ্রাহকেরা এখনো কেওয়াইসি করেননি তাঁরা সরাসরি নিকটবর্তী ব্যাংকিং শাখায় ভিজিট করুন, অথবা ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে কেওয়াইসি ফর্মটি ফিলাপ করে জমা দিন। এর সঙ্গে বেশ কিছু ডকুমেন্ট জমা করতে হবে। যা যা নথি চাওয়া হয়েছে ব্যাংকের তরফে। গ্রাহকরা নিজেদের আইডি প্রুভ, ঠিকানা প্রমাণ, ছবি, প্যান কার্ড, আয়ের প্রমাণ, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি জমা করবেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজটি সারা হলে আর কোনো সমস্যায় ভুগতে হবে না।
আরও পড়ুন » KYC-র নিয়মে বিরাট বদল, মানতে হবে সবাইকেই! নির্দেশ জারির পথে সরকার