How to Identify Real Rs 500 Note: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাজারে কালো টাকা ও জাল নোটের ব্যবহার রুখতে নোটবন্দির মতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নোট বাতিলের সময় ১০০০ টাকার নোটের সঙ্গে বাতিল করা হয়েছিল ৫০০ টাকার নোট। তারপর নতুন ৫০০ টাকার নোট (New Rs 500 Note) আসে বাজারে। কালের নিয়মে জালিয়াতরা সেই নোটও জাল করে। যদিও প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল, এই ৫০০ টাকার নোট জাল করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে প্রচুর জাল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার হয়। ৫০০ টাকার নোট নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপে বিভিন্ন গুজব বার্তাও ছড়ায়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। ফলে, বর্তমানে ভারতে ৫০০ টাকার নোট হলো সবথেকে বেশি মূল্যের মুদ্রা নোট। অনেকেই আসল এবং জাল নোটের মধ্যে ফারাক করতে পারেন না। এর ফলে প্রতারণার শিকার হন। এহেন পরিস্থিতিতে আসল ও জাল নোট চিনতে পারাটা খুবই প্রয়োজনীয়। আসল আর জাল নোটের মধ্যে ফারাক বোঝার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৫০০ টাকার নোট সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছে। যার সাহায্যে আসল এবং জাল ৫০০ টাকার নোটের মধ্যে সহজেই ফারাক খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
আসল ৫০০ টাকার নোট কিভাবে চিনবেন?
আরবিআই জানিয়েছে, ৫০০ টাকার নোটের নতুন সিরিজে মহাত্মা গান্ধীর ছবি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। নোটের বিপরীত দিকে লাল কেল্লার মোটিফ রয়েছে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে চিত্রিত করেছে। নোটের মূল রং স্টোন গ্রে। নোটে রয়েছে নানা ডিজাইন এবং জ্যামিতিক প্যাটার্ন, যা স্টোন গ্রে রঙের সঙ্গে মানানসই করে আঁকা হয়েছে নোটের সামনে ও পিছনে। ৫০০ টাকার এই নোটের আকার প্রস্থে ৬৩ মিমি এবং দৈর্ঘে ১৫০ মিমি। এই ৫০০ টাকার নোটের সামনের অংশে, বাঁদিক ঘেসে থাকে একটি সি-থ্রু রেজিস্টার, তার মধ্যে সংখ্যায় লেখা থাকে ৫০০ । আর তার পাশেই সুপ্ত চিত্রের মাধ্যমে সংখ্যায় লেখা থাকে ৫০০।
এই সুপ্ত চিত্রের উপরেই দেবনাগরীতে লিপিতে ৫০০ লেখা রয়েছে। নোটের মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি। ক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’। ‘ভারত’ এবং ‘আরবিআই’-এর সঙ্গে কালার শিফট উইন্ডোয় সুরক্ষারেখা রয়েছে। ৫০০ নোটটি আড়াআড়ি দেখলে সুরক্ষারেখার রং সবুজ থেকে নীল হয়ে যায়। মহাত্মা গান্ধীর ছবির ডানদিকে থাকে আরবিআই গভর্নরের স্বাক্ষর-সহ প্রতিশ্রুতিনামা এবং আরবিআই প্রতীক। আরবিআই-এর গভর্নরের প্রতিশ্রুতি ও স্বাক্ষর দেবনাগরী এবং ইংরাজি লিপিতে থাকে। নোটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি এবং ইলেক্ট্রোটাইপ ওয়াটারমার্ক রয়েছে। নোটের উপরের বাম এবং নীচে ডানদিকে একটি সংখ্যার প্যানেল রয়েছে।
আরও পড়ুন » এবার এক ধাক্কায় বেড়ে গেলো PF-র সুদের হার! অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকবে জেনে নিন
নোটের ডান পাশে অশোক স্তম্ভের প্রতীক রয়েছে। স্বচ্ছ ভারত লোগোও রয়েছে নোটে। ৫০০ নোটের পিছনে বাম দিকে নোট ছাপানোর বছর। ভাষা প্যানেল এবং লাল কেল্লার আকৃতি। তার পর দেবনাগরীতে লেখা থাকে ৫০০। দৃষ্টিহীনরা স্পর্শের মাধ্যমে নোটটি চিনে নিতে পারেন। প্রথমে নোটে থাকা মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি, অশোক স্তম্ভের প্রতীক, ক্ষুদ্র অক্ষরে লেখা ৫০০ টাকা এবং নোটের দুই ধারে পাঁচটি করে বাঁকা সরল রেখা, এমনভাবে ছাপা হয় যা সবগুলিই উঁচু হয়ে থাকে, অর্থাৎ ৫০০ টাকার নোটের এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে চিনে নিতে হবে আসল ৫০০ টাকার নোট। যদি উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি না থাকে, তবে বুঝে নিতে হবে যে, নোটটি জাল। সেইমত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।