EPFO Interest Rate: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই সরকারের বড় ঘোষণা। বৃদ্ধি করা হলো পিএফে সুদের হার। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টের তরফে ইপিএফওতে সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ বাড়ানো হলো। ইপিএফওর ৬.৫ কোটি গ্রাহক ২০২৩ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষে এই সুদ পাবেন। গত অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২২ থেকে ২০২৩ অর্থবর্ষে পিএফে ৮.১৫ শতাংশ সুদের হার ছিল। তবে, এবার সেখান থেকেই একধাক্কায় ০.১০ শতাংশ সুদের হার বাড়ানো হলো। এটিই হলো বিগত তিন বছরে সর্বোচ্চ সুদের হার।
তবে, এখন প্রশ্ন হলো যে, সরকারের এই ঘোষণার পর আপনার ইপিএফও বা পিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়বে, কীভাবে তা চেক করবেন, কত টাকা কাটা হবে, কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে প্রভূতি। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আপনার এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে চলেছি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
পিএফ-র টাকা কীভাবে কাটা হয় ?
ইপিএফও আইন অনুসারে, কর্মচারীর বেতনের ১২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং কর্মচারী যে সংস্থায় কাজ করেন, তার তরফেও ১২ শতাংশ পিএফের জন্য বিনিয়োগ করা হয়, যার ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি ৮.৩৩ শতাংশ জমা হয় পেনশন স্কিমে। এইভাবেই বেতন থেকে টাকা কেটে এবং সংস্থার দেওয়া টাকা মিলে কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিল তৈরি করা হয়।
সুদের কত শতাংশ টাকা অ্যাকাউন্টে আসবে ?
ইপিএফওর সুদের হার বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করার এবার থেকে পিএফ অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত টাকা ঢুকবে। প্রতিমাসে পিএফের টাকা জমা হলেও বছরে একবারই পিএফে সুদের টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এই যেমন ধরুন, আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে মোট ১ লক্ষ টাকা জমা রয়েছে। গত আর্থিক বছরে আপনি ৮.১৫ শতাংশ সুদের হারে ৮১৫০ টাকা সুদ পেয়েছেন, তবে এবার এই সুদের হার ৮.২৫ শতাংশে বৃদ্ধির ফলে আপনার প্রাপ্ত সুদের টাকার পরিমাণও বাড়বে, যার দরুন আপনি ৮২৫০ টাকা সুদ পাবেন। সুতরাং, আপনার অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত ১০০ টাকা জমা পড়বে।
পিএফ থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া যায় ?
১) পিএফ অ্যাকাউন্টে ১০ বছরের জন্য নিয়মিত পেনশন জমা হলে পেনশন স্কিমের সুবিধা পাওয়া যায়। যদি একজন অ্যাকাউন্টধারী ১০ বছর চাকরি করে থাকেন এবং তার অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা জমা হয়, তাহলে কর্মচারী পেনশন স্কিম ১৯৯৫ এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে ন্যূনতম এক হাজার টাকা মাসিক পেনশন পাবেন।
২) আপনি যদি চাকরি পরিবর্তন করেন, তবে আপনি অনায়াসেই পিএফের টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনার আধারের সাথে সংযুক্ত আপনার ইউনিক নম্বরের মাধ্যমে আপনি এক জায়গায় একাধিক পিএফ অ্যাকাউন্ট রাখতে পারেন। নতুন চাকরিতে যুক্ত হওয়ার সময় আর ফর্ম ১৩ পূরণ করার প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি ইপিএফওর একটি নতুন ফর্ম ১১ জারি করেছে, যার মাধ্যমে আপনার আগের অ্যাকাউন্ট নতুন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই।
৩) আপনি আপনার পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে অনায়াসে টাকা তুলতে পারেন। অ্যাকাউন্টে এই টাকা পৌঁছতে আগে তিন থেকে চার দিন সময় লাগত, তবে করোনা মহামারীর পর থেকে সরকার কর্তৃক চালু হওয়া নয়া সুবিধার ফলে আবেদন করার এক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে। এই সুবিধা চালু করা হয়েছে মেডিকেল ইমার্জেন্সির আওতায়, এছাড়াও আপনি বাড়ি কেনা, ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা বা মেয়ের বিয়ের জন্য পিএফের টাকা তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন » আপনার PF অ্যাকাউন্ট কি চলছে? কোম্পানি কি টাকা জমা দিচ্ছে? এক ক্লিকেই জেনে নিন অ্যাকাউন্টের সব তথ্য
কীভাবে পিএফ ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন?
পিএফ চেক করতে প্রথমে আপনাকে ইপিএফও এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.epfindia.gov.in -এ গিয়ে ই পাসবুক অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি নতুন পৃষ্ঠা খুলে যাবে, যেখানে আপনাকে UAN, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড লিখে লগ ইন করতে হবে। লগ ইন করার পর আপনাকে মেম্বার আইডি অপশনটি নির্বাচন করতে হবে, তাহলেই আপনি পিডিএফ ফর্ম্যাটে পাসবুক পাবেন। সেই পাসবুকটি আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এমনকি আপনি চাইলে https://passbook.epfindia.gov.in/ -এ গিয়ে লগইন করে সরাসরি পাসবুক দেখতে পারেন।
এইধরনের আরও আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট infonetbangla.in ফলো করতে ভুলবেন না।