Bike Transport by Train: এক স্থান অন্য স্থানে ভ্রমণের জন্য রেলপথ অন্যতম ভরসার একটি মাধ্যম। ট্রেনে চেপে অতি অল্প সময় দূরবর্তী গন্তব্যে পৌছনো সম্ভব। কিন্তু ট্রেনে চড়ে মানুষের যাতায়াত যেমন সম্ভব তেমনই আপনার দুচাকার বাহনকেও ট্রেনে চাপিয়ে ঘুরিয়ে আনতে পারেন। শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন সম্ভব নয়? তবে জানুন যে ট্রেনে বাইক চড়িয়ে পাঠানো যায় অন্যত্র।
অনেকেই আছেন যাঁরা বাড়ি পরিবর্তন করছেন বা শিফট করছেন অন্যত্র। সেক্ষেত্রে সমস্ত লাগেজ স্থলপথে পরিবহণ যেমন সম্ভব তেমনই রেলপথেও আপনার জিনিসপত্র পাঠাতে পারেন নতুন ঠিকানায়। তবে দুচাকার বাহন তথা বাইক রেলপথে ট্রাভেল করানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে। কী কী? আজকের এই প্রতিবেদন পড়ে জেনে নিন বিস্তারিত।
How To Bike Transport by Train: Documents, Charges & Safety Tips
১) সমস্ত কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন
এমন অনেক সময়েই হয় যেখানে যাত্রী নিজে হয়ত ট্রেনে ভ্রমণ করছেন না, অথচ নিজের বাইক বা স্কুটিটিকে ভ্রমণ করাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে আপনার টু হুইলারের রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেটের একটি ফটো কপি নিয়ে জমা করুন পার্সেল অফিসে। পাশাপাশি বাইকের বিমা ও আরসি থাকাও বাধ্যতামূলক। ট্রেনে যদি বাইক পাঠাবেন বলে স্থির করে থাকেন তবে সমস্ত কাগজপত্র রেডি রাখুন।
২) পরিবহণ মূল্য
বাইক পার্সেল করার পরিবহণ মূল্য নির্ভর করে দূরত্বের উপর। বাইক পাঠানোর আগেই পার্সেল ফর্ম ফিল আপ করে নিন। এই পার্সেল ফর্মে উল্লেখ করুন বাইকের ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর। এর সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে প্রাপকের নামও। তবে বলা যায়, বাইকটি প্যাক করতে সাধারণত ৩০০ টাকা মতো খরচ হয়। তবে কখনও কখনও এর খরচ এক হাজার টাকাও হতে পারে।
৩) পেট্রোল ট্যাঙ্ক খালি করুন
ট্রেনে করে বাইক প্রেরণ করার আগে অবশ্যই খালি করুন পেট্রোল ট্যাঙ্ক। এছাড়াও মোটরবাইকটির প্যাকিংয়ের আগে সেটির ক্লাচ ও ব্রেক আলগা করে দিন। এতে এগুলি নিরাপদ থাকে ও প্যাকিং সহজ হয়। পার্সেল অফিসে আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হবে। এতে গাড়ি সম্বন্ধীয় যাবতীয় তথ্য পূরণ করুন। এছাড়া একটি কার্ডবোর্ডে স্পষ্ট করে প্রস্থান ও আগমন স্টেশনের নামটি উল্লেখ করুন।