Fixed Deposit: প্রতিটি মানুষ তার এবং তার পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম মাধ্যম হলো ফিক্সড ডিপোজিট, যেখানে ঝুঁকি নেই বললেই চলে আর মেয়াদ শেষে মেলে নিশ্চিত রিটার্ন। তাই সকলেই চোখ বন্ধ করে ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থ বিনিয়োগ করেন। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে নিরাপদ বিনিয়োগের উৎস বলতে মানুষ ফিক্সড ডিপোজিটকেই বোঝেন। বিশেষ করে অবসরকালীন সঞ্চয় নিরাপদে রাখার জন্য ফিক্সড ডিপোজিট হলো সেরা বিকল্প।
এখানে অর্থ বিনিয়োগের মেয়াদের উপর নির্ভর করে ব্যাঙ্ক সুদের হার নির্ধারণ করে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলোতে এই Fixed Deposit -এর সুদের হার পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলি ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। দেশের কিছু ব্যাঙ্ক রয়েছে, যারা ফিক্সড ডিপোজিটে ব্যাপক রিটার্ন দেয়, যেমন আরবিএল ব্যাঙ্ক, ডিসিবি ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব অ্যান্ড সিন্ধ ব্যাঙ্ক প্রভৃতি।
যদিও ব্যাঙ্কগুলি যেকোনো সময় ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার পরিবর্তন করতে পারে। তাই ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের আগে কোন ব্যাঙ্কে সুদের হার কত সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আজ আমরা ১০টি ব্যাঙ্কের সুদের হার সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
১০টি ব্যাঙ্কের নাম ও Fixed Deposit ইন্টারেস্ট রেট:-
ব্যাঙ্কের নাম | সময়কাল | সুদের পরিমাণ |
RBL Bank | ১৮ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত | ৮.১০ শতাংশ |
DCB Bank | ২৫ থেকে ২৬ মাস পর্যন্ত | ৮ শতাংশ |
IndusInd Bank | ১ বছর থেকে ১ বছর ৬ মাসের কম, ১ বছর ৭ মাস থেকে ২ বছরের কম | ৭.৭৫ শতাংশ |
IDFC First Bank | ৫৪৯ দিন থেকে ২ বছর পর্যন্ত | ৭.৭৫ শতাংশ |
Yes Bank | ১৮ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত | ৭.৭৫ শতাংশ |
Kotak Mahindra Bank | ৩৯০ দিন থেকে ২৩ মাসের কম | ৭.৪০ শতাংশ |
Punjab National Bank | ৪০০ দিনের জন্য | ৭.২৫ শতাংশ |
Bank of Baroda | ২ বছরের বেশি এবং ৩ বছর পর্যন্ত | ৭.২৫ শতাংশ |
HDFC Bank | ১৮ মাস থেকে ২১ মাস পর্যন্ত | ৭.২৫ শতাংশ |
ICICI Bank | ১৫ মাস থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত | ৭.২০ শতাংশ |
আরও পড়ুন » পোস্ট অফিসের নতুন স্কিম, প্রতি মাসে মাত্র ১,৫০০ টাকা জমা করে পেয়ে যান ৩৫ লক্ষ টাকা, জানুন বিস্তারিত
ফিক্সড ডিপোজিটের উপর মিলবে ৫ লাখ টাকা বিমা কভার
কোনো ব্যক্তি যদি ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন, তবে তিনি ৫ লাখ টাকার উপর বিমা কভার পাবেন। যদি কোনো কারণে ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়, তবে সেক্ষেত্রে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা কভার পাবেন।