ইপিএফও অর্থাৎ এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন হলো বর্তমানে বিশ্বের সামাজিক সুরক্ষামূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম। এতে ২৭৭ মিলিয়ান অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে ২০ লাখ কোটি টাকা রয়েছে। এবার এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করতে বলা হয়েছে সকল গ্রাহককে। তবে, প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করা যাচ্ছে না, যার জেরে বহু গ্রাহক পড়ছেন রীতিমতো বিপাকে।
কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন জানিয়েছে যে, আসলে ওয়েব পোর্টালে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সঠিভাবে করা যাচ্ছে না। বুধবার এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এই বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে গ্রাহকদের এহেন হয়রানির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে। যদিও কবে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে এবং ফের সব কিছু স্বাভাবিক হবে, তা এখনো জানা যায়নি।
চলতি বছরের ২০শে ফেব্রুয়ারি এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, যেখানে বলা হয় যে, এই সংস্থা প্রতি ৩-এ একজনের প্রভিডেন্ট ফান্ডের দাবি খারিজ করেছে। এমনকি, বহু গ্রাহক প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্টও করেন। উল্লেখ্য, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে সমস্যা হলে এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ দায়ের করা যায়।
সাধারণত, এখানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই সমস্যার সমাধান করতে ২০ দিন সময় নিয়ে থাকে। আর তার মধ্যেই গ্রাহকের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবর্ষে ১৩ শতাংশ ও ২০১৮ থেকে ২০১৯ অর্থবর্ষে ১৮.২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের আবেদন বাতিল করেছিল।
আরও পড়ুন » কিভাবে EPF অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করবেন, জানুন সম্পূর্ন প্রসেস
২০২২ থেকে ২০২৩ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য ৭৩.৮৭ লাখ আবেদনপত্র পেয়েছিল, যার মধ্যে ৩৩.৮ শতাংশ আবেদন বাতিল করে, অর্থাৎ এই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ২৪.৯৩ গ্রাহকের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আবেদন খারিজ করেছিল। এই কেন্দ্রীয় সংস্থা আবার বর্তমান অর্থবর্ষে ৪৬.৬৬ লাখ গ্রাহকের হাতে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে দিয়েছে। এর ফলে ২.১৮ লাখ টাকা রয়েছে ক্লোজিং ব্যালেন্স। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০২৩ অর্থবর্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আবেদন খারিজের পরিমাণ আগের বছরগুলির তুলনায় বেশি ছিল।
এর পিছনে গ্রাহকদের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে এই কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে এমপ্লোয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ৮.৪১ লাখ নতুন সদস্য পেয়েছে, যার ফলে এর মোট সদস্য সংখ্যা এক লাফে ১৫.৬২ লাখে গিয়ে পৌঁছেছে। সংস্থার দাবি, এরা সকলেই বেতনভুক্ত কর্মচারী।