LIC : ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য এলআইসি (LIC) করেন অনেকেই। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত টাকা সঞ্চয় করতে হয়। মেয়াদপুর্তি হলে গ্রাহক টাকা ক্লেম করতে পারেন। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, বিমার মেয়াদ শেষ হলে কিভাবে বীমার অর্থ ক্লেম করা উচিত। গ্রাহক কিভাবে বীমা প্রদানকারী অথবা সংস্থার থেকে বীমার টাকা পাবেন? এ বিষয়ে কিছু টিপস অবশ্যই জেনে রাখা জরুরি। না হলে গ্রাহক সমস্যায় পড়তে পারেন। একজন LIC গ্রাহক তার ম্যাচিউরিটির অর্থ অনলাইনেই ক্লেম করতে পারবেন। আবার চাইলে সরাসরি বীমা অফিসে গিয়ে ম্যাচিউরিটি টাকা ক্লেম করা সম্ভব।
১) LIC গ্রাহকরা কিভাবে ক্লেম সেটেলমেন্ট করবেন?
এলআইসি পলিসি হোল্ডাররা বীমা করার সময়ই বিস্তারিত নিয়মগুলি জেনে যান। তারপরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হল ম্যাচিউরিটি শেষে কিভাবে ক্লেম ইনস্টলমেন্ট করা যাবে। আসলে পলিসি হোল্ডারদের পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ক্লেম ইনস্টলমেন্ট বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। যদি বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তবে বিমাকারী ব্যক্তিকে ক্লেম ইনস্টলমেন্টের অগ্রাধিকার দেয় এলআইসি। সরাসরি সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনি ক্লেম ইনস্টলমেন্ট করতে পারবেন। কিভাবে করবেন, সে বিষয়ে নিম্ন আলোচনা করা হলো।
২) LIC-র বীমার টাকা ক্লেম করার পদ্ধতি
সম্প্রতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC) সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটে তার সমস্ত গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছে, পলিসি হোল্ডাররা তাদের পলিসির টাকা পাওয়ার জন্য তাদের ব্যাংকের ডিটেলস আপডেট করার পাশাপাশি কেওয়াইসি (KYC)-ও জমা করে।
এছাড়া, এলআইসি (LIC)-এর তরফে বলা হয়েছে এনডাউনমেন্ট পলিসি গুলির ক্ষেত্রে অর্থ পাওয়ার জন্য পলিসির মেয়াদ শেষের কমপক্ষে দুই মাস আগে পলিসি ধারককে একটি চিঠি পাঠানো হবে। চিঠিটি সাধারণত আসতে পারে যে শাখা অফিসটির পক্ষ থেকে পলিসিটির প্রদান করা হয়ে থাকে সেখান থেকে। উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা থাকে পলিসি ধারক কোন তারিখে তাঁর বীমার অর্থ পাবেন।
সেক্ষেত্রে একটি কাগজপত্রের বিনিময় চলে। যে যে ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজনীয়, সেগুলি দেওয়া হয়।তারপর নির্দিষ্ট তারিখে ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বীমার অর্থ জমা পড়ে যায়। পলিসিধারক ওই নির্ধারিত তারিখে নিজেদের অ্যাকাউন্টে গোটা টাকাটি পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন » PAN Card Rules – এই ধরণের প্যান কার্ড থাকলে গুনতে হবে জরিমানা। কড়া নির্দেশ দিল আয়কর বিভাগ
তবে একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে, পলিসিধারককে একটি ডিসচার্জ ফর্ম পাঠাতে হবে। সেইসঙ্গে পলিসির ডকুমেন্ট, এনইফটি ম্যান্ডেট ফর্ম (সহায়ক ডকুমেন্টেশন-সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ), কেওয়াইসি এবং আরও একাধিক তথ্য জমা দিতে হবে।