Gold Rate Today: একটানা দুমাস ধরে সোনার দাম অনেকটা কমেছে। শহর কলকাতায় সাধারণ মানুষের মুখে ফুটেছে চওড়া হাসি। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসে সোনার দাম প্রায় ২ শতাংশ কমেছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই দুই মাসেই রেকর্ড পরিমাণে সস্তা হয়েছে সোনা। জানুয়ারিতে কলকাতায় সোনার দাম কমেছে ০.৯৪ শতাংশ এবং ফেব্রুয়ারিতে সোনার দাম কমেছে ০.৯৬ শতাংশ।
কমছে সোনার দাম?
মূলত মাসের শুরু ও শেষ তারিখের মধ্যে এই দামের তুলনা করা হয়, যেমন জানুয়ারি মাসের ১লা তারিখে কলকাতায় ২৪ ক্যারেট সোনার প্রতি ১০ গ্রামের দাম ছিল ৬৩৮৭০ টাকা, যা ৩১শে জানুয়ারি কমে গিয়ে ৬৩২৭০ টাকা হয়, সুতরাং প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম কমেছে প্রায় ৬০০ টাকা। আবার ফেব্রুয়ারি মাসের ১লা তারিখে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৬৩৪৪০ টাকা, যা ২৯শে ফেব্রুয়ারিতে কমে গিয়ে ৬২৮৩০ টাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে সোনার দাম ৬১০ টাকার বেশি কমেছে।
এর আগে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সোনার দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরু থেকেই হলুদ ধাতুর দামে লাগাম টানা গেছে। তাই মনে করা হচ্ছে যে, এইভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্তের পকেটে খানিক স্বস্তি ফিরতে পারে।
Gold Rate Today: ৪ঠা মার্চ কলকাতায় সোনার দাম কত?
আজ অর্থাৎ ৪ঠা মার্চ সোমবার কলকাতায় সোনার দামে (Gold Rate Today) কোনো বদল আসেনি। ২৪ ক্যারেট থেকে শুরু করে ১৮ ক্যারেট সব সোনার দাম একই রয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম রয়েছে ৬৪০৯০ টাকা। আর ২২ ক্যারেট সোনার দাম রয়েছে ৫৮৭৫০ টাকা। উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়নি। যদিও এর আগে তার আগে বৃহস্পতি ও শুক্রবারে সোনার দাম রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। সাধারণত, ২৪ ক্যারেট সোনায় বিশুদ্ধতার পরিমাণও অনেক বেশি হওয়ায় এর দাম বেশি হয়।
২৪ ক্যারেট সোনায় বিশুদ্ধতার পরিমাণ থাকে ৯৯ শতাংশ, তবে এই সোনা দিয়ে গয়না তৈরি করা হয় না। এর কারণ হলো গয়না তৈরি করতে সোনায় খাদ মেশাতে হয়। তাই ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে মূলত, বার, গিনি, কয়েন ইত্যাদি তৈরি করা হয়। আবার অপরদিকে, ২২ ক্যারেট সোনায় বিশুদ্ধতার পরিমাণ হয় ৯১ শতাংশ, আর এই সোনা দিয়েই মূলত গয়না তৈরি করা হয়। প্রসঙ্গত, এই সব দামই GST, TCS ও অন্য শুল্ক ছাড়া। সোনায় এই শুল্কগুলো আরোপ করার পর দাম আরও বেড়ে যায়, তাও প্রায় ৩ শতাংশ। আবার গয়নার ক্ষেত্রে থাকে মেকিং চার্জ। তাই সব মিলিয়ে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন » Gold Rule – অতিরিক্ত সোনা কেনার শখ রয়েছে? জানেন বাড়িতে কত পরিমাণ সোনা রাখা যায়? না মানলেই বিপদে পড়বেন
মূলত বাজার দর ও সরবরাহের ভিত্তিতে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়। সোনার চাহিদা বাড়লে দামও বৃদ্ধি পায়। আবার সোনার সরবরাহ বাড়লে দাম কমে। এরসঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণেও সোনার দাম প্রভাবিত হয় বেশ খানিক।