চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছেন। তিনি এই নিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য বাজেট পেশ করলেন। সকল মধ্যবিত্তেরই এই বাজেটকে ঘিরে একরাশ উত্তেজনা ছিল। কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর (Income Tax) নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর ছিল সকলেরই। সংসদে এনিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্বাচনের বছর হওয়ায় এবারের বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করে বদল করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
পুরনো কর কাঠামোর ছাড়গুলিতেও কোনোরকম বদল করা হয়নি এবং এবারের নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কোনো আয়কর দিতে হয় না। এইদিন সংসদে বাজেট বক্তৃতার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে কর ব্যবস্থায় কোনোরকম পরিবর্তন না করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘নির্বাচনের বছর হওয়ায় কর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেট ছিল মোদী সরকারের শেষ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট।
তাই সাধারন মানুষের মধ্যে আয়করে ছাড় নিয়ে প্রত্যাশা পারদ তুঙ্গে ছিল। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমাবেড়েছিল ২০১৯ সালের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে, যা নিয়ে বিরোধীদের একাংশই প্রশ্ন তুলেছিল। মধ্যবিত্ত মানুষদের থেকে ভোট পাওয়ায় আকাঙ্খায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে অনেকেই ওই সময় অভিযোগ করেছিলেন। তবে, এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অবশ্য বিরোধীদের সেই সুযোগ দেননি। তিনি জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যে কর ব্যবস্থা বহাল রয়েছে, তা পরবর্তী বাজেট পর্যন্ত বহাল রাখা হবে। এরপর যে সরকার গদিতে বসবে সেই লোকসভা নির্বাচনের পর চলতি বছরের জুলাইতে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে।
সেখানে উন্নত ভারতের রোডম্যাপ তুলে ধরা হবে। যদিও বর্তমানে পুরনো কর কাঠামো অনুযায়ী, বছরে ২.৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন হারে কর (Income Tax) দিতে হয়, তবে জল্পনা চলছিল যে, এই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আরো ৫০ হাজার টাকা বাড়ানো হতে পারে। তবে তা করা হয়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, চলতি আর্থিক বছরে প্রত্যক্ষ কর ও আয়কর রিটার্ন (Income Tax Return) জমা দেওয়ার পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং পুরনো কর কাঠামো অনুযায়ী, যদি কোনো করদাতার গরমিল থাকে সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।