Electric Bill: সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে রাতে ঘুমাতে যাওয়া বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত চলা সম্ভব নয়। সারা বছর নানান ইলেকট্রিক গ্যাজেট ব্যবহার করি আমরা। প্রত্যেকটি গ্যাজেটের জন্য আলাদা আলাদা বিদ্যুৎ খরচ লুকিয়ে থাকে। বিশেষ করে গরমকালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। ইলেকট্রিক বিল নিয়ে চিন্তায় থাকেন আমজনতা। একজন ব্যক্তি বিদ্যুতের যে পরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেন, সেই অনুযায়ী তাঁকে বিল দিতে হয়। ইলেকট্রিক বিল জমা করার আগে আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এতেই কমে যাবে মাসিক খরচের হার।
প্রথমত, প্রতি মাসে আপনি যত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করছেন তার ভিত্তিতে ইলেকট্রিসিটি কোম্পানিগুলি একটি বিদ্যুতের বিল প্রস্তুত করে। ইলেকট্রিসিটি বিল জমা দেওয়ার আগে যিনি বিল জমা দিচ্ছেন তাঁকে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। ব্যবহারকারী কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, আর তাঁর জন্য কত টাকা দিতে হবে, নির্ভুলভাবে তথ্য বুঝে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক ব্যবহারকারী বিদ্যুতের বিলে খরচের হিসেবে দিকে অনেক বেশি নজর দেন যত না তিনি ইউনিট কিছু বিদ্যুৎ খরচ-এর হিসেব রাখেন। এটা করা মোটেই উচিত নয়।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল কোন জিনিসের চার্জ কত। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ইউনিটের মাত্রা পার করলে ইলেকট্রিক বিলের খরচ বেশি টাকা হয়ে যায়। সঠিক হিসেব জানা থাকলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয় ধারণা স্পষ্ট হয়, খরচ অপেক্ষাকৃত অনেকটা কম হয়। অনেক সময় ইলেকট্রিসিটি বিলে কোন যন্ত্রের জন্য কত বিদ্যুৎ খরচ হল তার হিসেব থাকে। সেদিকে মনোযোগ দিন।
তৃতীয়ত, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বিদ্যুতের বিল জমা দেন তাহলে কিছু ছাড় পাবেন। বিদ্যুতের বিলে উল্লেখ থাকে সেই সময়। চেষ্টা করুন তার মধ্যে ইলেকট্রিসিটি বিল জমা দিতে। বাড়তি ছাড় পেতে পারেন। এছাড়া, অনলাইন পেমেন্টে অনেক সময় অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়। বিদ্যুতের বিলে ছাড় পেতে হলে অনলাইনে বিল পেমেন্ট করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে বিল জমা দিলে একাধিক সংস্থা গ্রাহকদের কুপন, রিওয়ার্ড, এমনকি ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে। সেগুলি খেয়াল রাখতে পারেন, তবে হ্যাঁ, কোন অপরিচিত লিংকে ক্লিক করে বিদ্যুতের বিল জমা করতে যাবেন না। এবং যেটি অবশ্যই করণীয়, নিজের ইলেক্ট্রিসিটি বিল খুঁটিয়ে পড়ুন। বিল সম্পর্কিত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য উল্লেখ থাকবে সেখানেই।